মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
মেঘনাপোষ্ট ডেস্করিপোর্ট :
ডাকাতিয়া নদীর তীর ঘেঁষে বিস্তীর্ণ বাগান। সে বাগানে থরে থরে ফলে আছে নানা ফল। এর কিছু চেনা, অনেকগুলোই অচেনা। চেনা ফলগুলোরও জাত অজানা।
অচেনা, অজানা হবেই বা না কেন? এরা যে বিদেশি! চেনা, অচেনা নানা উন্নত জাতের বিদেশি ফলের এই বাগান তৈরি করেছেন কৃষি উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন।
যে জমিতে হেলাল তাঁর বাগান করেছেন সেটি ছিল পরিবেশবিধ্বংসী ইটভাটা। ভাটার কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যেত চারপাশ। আশপাশের মাঠে ভালো ফসল ফলত না। ফসলের মাঠ যেন বাঁচার জন্য হাঁসফাঁস করত।
হেলালের সেই মরূদ্যানের নাম ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো। এটি চাঁদপুরের শাহতলী এলাকায়। ডাকাতিয়ার কোলঘেঁষে তৈরি এই মরূদ্যান এখন জেলার অন্যতম কৃষিপর্যটন এলাকায় পরিণত হয়েছে। শুধু তা—ই নয়, এখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদেশি বিভিন্ন উন্নত ফলের জাত।
হেলাল উদ্দিন পেশায় সাংবাদিক। কর্মজীবনে তিনি দৈনিক যুগান্তরের বাণিজ্য ও অনলাইন বিভাগের প্রধানসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করেছেন।
ফ্রুটস ভ্যালির রূপকার হেলাল বলেন, তাঁর বাগানে দুর্লভ হলুদ ড্রাগন, ক্যানসাররোধী করোসলসহ বিদেশের উন্নত ৪১ প্রজাতির ফলগাছ আছে। তিনি চান, এখান থেকে দেশের কৃষি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে এসব ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষের জন্য ছড়িয়ে পড়ুক।
এতে দেশে ফলের উন্নত প্রজাতি যেমন বাড়বে, তেমনি বিদেশ থেকে এসব ফলের আমদানিনির্ভরতাও কমবে। দেশ সমৃদ্ধ হবে